দেশের পেমেন্ট এবং ফিনটেক খাতে উদ্ভাবন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও ডিজিটাল অর্থনীতিতে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ পেল ইসলামী ব্যাংকসহ মোট ১৮টি শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। শনিবার (২২ নভেম্বর) রাতে ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ইনস্পায়ার্ড বাই ফিউচার থিমে এই জমকালো অনুষ্ঠানের সপ্তম আসর অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ১৯টি ক্যাটাগরিতে মোট ৩৩টি পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

মাস্টারকার্ডের এই বার্ষিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড দেশের ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমে অবদান রাখা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অন্যতম বৃহৎ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত। এই বছরের থিম – সহযোগিতা, প্রযুক্তি এবং অগ্রচিন্তা – একটি আরও শক্তিশালী আর্থিক ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার প্রতি মাস্টারকার্ডের অঙ্গীকারকে তুলে ধরে, যা ভবিষ্যতের নতুন সুযোগ তৈরির ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

পুরস্কারের ক্যাটাগরিগুলোতে উদ্ভাবন এবং বাজারের বিভিন্ন দিক প্রতিফলিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

• ডিজিটাল ইনোভেশন

• ডিজিটাল বিজনেস ও অনলাইন বিজনেস

• ডেবিট ও ক্রেডিট (ডমেস্টিক ও ক্রস বর্ডার)

• পিওএস ও অনলাইন অ্যাকোয়ারিং

• কো-ব্র্যান্ডস

• ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশন (আর্থিক অন্তর্ভুক্তি)

• ইমার্জিং বিজনেস

• মাস্টারকার্ড বিজনেস গ্রোথ (ইস্যুয়িং)

• ইনোভেশন ও অ্যাকসেপ্ট্যান্সে ইনোভেশন

দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক এবং ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো (এনবিএফআই) এই সম্মাননা অর্জন করেছে:

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি তাঁর বক্তব্যে পেমেন্ট খাতে উদ্ভাবনী পদ্ধতির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, "উদ্ভাবনী পেমেন্ট পদ্ধতি এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তিই দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে। ডিজিটাল অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে মাস্টারকার্ড ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের এই প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসনীয়।"

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মোঃ জাকির হোসেন চৌধুরী।

এছাড়াও, অনুষ্ঠানে মাস্টারকার্ড সাউথ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট আগারওয়াল, কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, ডিরেক্টর জাকিয়া সুলতানা ও সোহেল আলীম সহ বাংলাদেশ ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, শীর্ষ ব্যাংক ও ফিনটেক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা, কূটনীতিক এবং প্রধান মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।