আগামী রোববার (২৪ নভেম্বর) থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি, ছেঁড়া-ফাটা নোট বিনিময়সহ গ্রাহক-সংশ্লিষ্ট পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা বন্ধ হচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদার এবং ক্যাশ বিভাগ আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেন এই সেবাগুলো সাধারণ মানুষকে নির্বিঘ্নে সরবরাহ করে, সে বিষয়ে তদারকি বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় থেকে গ্রাহকরা দীর্ঘদিন ধরে যে পাঁচটি সেবা সরাসরি গ্রহণ করতেন, তা আগামী রোববার থেকে আর পাওয়া যাবে না। এই সেবাগুলো বন্ধ হওয়ার শেষ দিন হলো আগামী বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর)।
- বন্ধ হতে যাওয়া সেবাগুলো হলো:
- সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও নগদায়ন
- প্রাইজবন্ড বিক্রি ও ভাঙানো
- ছেঁড়া-ফাটা নোট বিনিময় বা বদল
- চালান-সংক্রান্ত ভাংতি টাকা প্রদান
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র সাঈদা খানম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বের কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাউন্টার থেকে সরাসরি সাধারণ মানুষকে এ ধরনের সেবা দেয় না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বর্তমানে কি পয়েন্ট ইনস্টলেশনভুক্ত (কেপিআই) একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত, যার অর্থ এটি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং নিরাপত্তা-সংবেদনশীল। এই কারণে নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করেই গ্রাহক-সংশ্লিষ্ট এসব সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের নিচেই অবস্থিত এই মতিঝিল কার্যালয়টি ১৯৮৫ সাল থেকে এই সেবাগুলো দিয়ে আসছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্রাহক সেবা বন্ধ করলেও সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেন আগের মতোই বা আরও সহজ উপায়ে জনসাধারণকে সঞ্চয়পত্র, প্রাইজবন্ড বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদলের মতো সেবাগুলো সরবরাহ করে, তা নিশ্চিত করতে তারা তদারকি আরও জোরদার করবে। অর্থাৎ, গ্রাহকরা তাদের নিকটস্থ বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা থেকে এই সেবাগুলো নিতে পারবেন।