অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য গঠিত নতুন পে কমিশনের চূড়ান্ত সুপারিশ এবং বেতন কাঠামো নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেবে আগামীতে নির্বাচিত সরকার। রোববার (৯ নভেম্বর, ২০২৫) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সরকারি কর্মচারীদের বেতনকাঠামো পরিবর্তনের বিষয়টি বর্তমানে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করায় মানুষের প্রকৃত আয় কমে আসছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণে গত ২৭ জুলাই সাবেক অর্থসচিব ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানকে প্রধান করে একটি পে কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ২০১৫ সালের পে স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাচ্ছেন।
মূল্যস্ফীতির বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ স্বীকার করেন, খাদ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। বিশেষ করে যাতায়াত ও বাড়িভাড়ার কারণে এ বৃদ্ধি।
বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সরকার ইউরিয়া ও টিএসপি সার আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি সেদ্ধ চাল আনার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। তিনি পরিস্থিতি সন্তোষজনক বলে মনে করেন এবং সামগ্রিকভাবে খাদ্যের দাম মানুষের নাগালের মধ্যে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানান।
ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, ৩০ নভেম্বর থেকে সরকার আমন ধান সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করবে। এবার প্রতি কেজি ধান ৩৪ টাকা, আতপ চাল ৪৯ টাকা ও সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা দরে সংগ্রহ করা হবে। সরকারের লক্ষ্যমাত্রা হলো ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান ও আতপ চাল এবং ৬ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল সংগ্রহ করা।
চলমান ঋণ কর্মসূচির ষষ্ঠ কিস্তির অর্থছাড়ের বিষয়টিও পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ঠিক করবে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আইএমএফের একটি মিশন বাংলাদেশে এসে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'আমরা আইএমএফকে বলেছি, এই মুহূর্তে আমাদের ঋণের কিস্তির দরকার নেই। তারা আগে পর্যালোচনা করুক। নির্বাচিত সরকার কতটা ঋণ চায়, সেটা নিয়ে ফেব্রুয়ারির মিশন আলোচনা করবে, এরপর নাহয় ঋণছাড় হবে।'
আইএমএফ কর্তৃপক্ষ সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে উল্লেখ করেছে। তবে তাদের পরামর্শ হলো—রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি করতে হবে। অর্থ উপদেষ্টা নিশ্চিত করেন যে, আগামী সরকারকে আইএমএফের ঋণ, সংস্কারের শর্তসহ সব বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা তৈরি করে দেওয়া হবে।
বিষয় : চাল মূল্যস্ফীতি
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh
