সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সম্মেলন কক্ষে। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়ি নিলামের পরিবর্তে বিক্রির জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। আজ শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আবদুর রহমান খান বলেন, সবশেষ সংসদ নির্বাচনের পর আট থেকে নয় কোটি টাকার গাড়িগুলো শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করেন তখনকার এমপিরা। তবে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্টে সরকার ক্ষমতার পট পরিবর্তনের সেগুলো আর ছাড় করা হয়নি।
ফলে পড়ে থাকা ৪২টি গাড়ির মধ্যে ২৪টি গাড়ি এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে নিলামে তোলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গাড়িভেদে সর্বোচ্চ ১ লাখ থেকে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দর উঠলেও ভিত্তিমূল্যের কাছে না হওয়ায় সেগুলো বিক্রি করা যায়নি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, গাড়িগুলো বিক্রির জন্য নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গাড়িগুলো আমরা নিলামে দিয়েছিলাম, তবে আশানুরূপ ফলাফল পাইনি। এখন আমরা কিছু বিকল্প চিন্তা করছি।
“যেমন কোনো কোনো সরকারি সংস্থা প্রস্তাব দিয়েছে তারা ৬০ শতাংশ দামে নিতে চায়। উনাদেরকে দিতে পারি। এর বাইরে আমাদের চিন্তা আছে। আমরা নীতি নির্ধারক পর্যায়ে আলোচনা করব। আমরা জলের দরে বিক্রি করতে চাই না। একেকটি গাড়ি আট থেকে নয় কোটি টাকার।”
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে শুক্রবার দুপুরে ‘সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে শুক্রবার দুপুরে ‘সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “উপযুক্ত দাম না পেলে এসব গাড়ি কীভাবে আরও ভালো ব্যবহার কীভাবে করা যায় তা সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এসব গাড়ি বছরের পর বছর ফেলে রেখে স্ক্র্যাপ করার পক্ষে না আমরা।
“অচিরেই এই নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমাদের কিছু প্ল্যান হবে। যখন হবে দেখতে পাবেন।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বন্দরের জট নিরসনে উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন আবদুর রহমান খান।
তিনি বলেন, “বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ৬ হাজার কন্টেইনার নিলামে তুলে বন্দরের জট নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে একটি নিলামের আয়োজন হয়েছে। প্রথম নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতাকে আমরা দিয়ে দেব। নিলাম করতে করতে যাতে সময় নষ্ট না হয় সেজন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
গত এক বছরে বন্দরের অপারেশন ও কাস্টমস হাউজের অপারেশন দক্ষতা কিছুটা বেড়েছে দাবি করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের এসাইক্যুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম বিশ্বের ১০৩টা দেশ ব্যবহার করে। আমরাও করছি অনেকদিন ধরে।
“যখনই আমরা কোনো ট্যারিফ লাইন চেঞ্জ করি, বিশেষ করে বাজেট যখন হয়, আপডেটটা যখন করতে যাই, তখন এই সিস্টেমের বেশকিছু ‘ইয়ে’ দেখা যায়। এখানে ‘ইন্টারডিপেনডেন্সি’ অনেক বেশি। যেকোনো একটা জায়গায় প্রবলেম হলে, এটা আল্টিমেটলি কাজ করে না।”
সেজন্য বিশ্বের যেসব দেশ ‘আধুনিক কাস্টমস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ ব্যবহার করে সেরকম ‘ক্লাউড বেইজড’ নতুন সফটওয়্যার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ধীরে ধীরে এসাইক্যুডা থেকে সরে এসে সফটওয়্যারভিত্তিক আধুনিক ব্যবস্থায় যাওয়ার কথা তুলে ধরে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “এতে হয়ত বছর দুয়েক সময় লাগতে পারে। সে লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছি।”
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ‘সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh