রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পে কাজ করছেন শ্রমিকেরা।
বাংলাদেশের পোশাকের সবচেয়ে বড় ক্রেতা বা রপ্তানি বাজার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ।
অফিস অব দ্য টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেল (ওটেক্সা) কাজ করে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে।
পাঁচ মাসের হিসাব দিয়ে ওটেক্সা বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক প্রবেশ করেছে ৩৫৩ কোটি ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬২ কোটি ৭২ লাখ ডলার (২১ দশমিক ৬০ শতাংশ) বেশি।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মে সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৯০ কোটি ডলার।
এ বিষয়ে পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের জন্য যে পোশাক আমরা বানাই, তা সহজে অন্য কেউ দিতে পারবে না। এ কারণে জিএসপি হারানোর পরও বাংলাদেশের বাজার বাড়ছে।
‘‘নতুন শুল্কারোপের প্রভাব কী হয়, তা বলা যাচ্ছে না এখনই। আমরা চাইব, বাজার ধরে রেখেই যেন সরকার অন্যান্য বাজার সম্প্রসারণের নীতি নির্ধারণ করে। তাহলে আমাদের বর্তমান বাজারও থাকলো, নতুন বাজারেও রপ্তানি বাড়াতে পারলাম।”
বাংলাদেশের আরেক বড় বাজার ইউরোপেও বেড়েছে পোশাক রপ্তানি।
ইউরোপের দেশগুলোতে তৈরি পোশাক রপ্তানি নিয়ে প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ইউরোস্ট্যাট।
সেই তথ্য পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ (বিএই) বলছে, চলতি বছরের ৫ মাসে ইউরোপের দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয় ১৭ দশমিক ৬২ শতাংশ।
ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-মে সময়ে ইউরোপে ৯৬৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১৪৪ কোটি ডলার বেশি।
২০২৪ সালের প্রথম পাঁচ মাসে ইউরোপের দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানি হয় ৮২৩ কোটি ডলারের।
রপ্তানির পাশাপাশি পোশাকের দর বাড়ার তথ্যও দিয়েছে ইউরোস্ট্যাট। তাদের হিসাবে, আগের বছরের তুলনায় দর বেড়েছে ১৫ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।
ওটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাকের সংখ্যার হিসাবে রপ্তানি বেড়েছে ২১ শতাংশ; আর ইউনিট প্রতি দর বেড়েছে দশমিক ৪৭ শতাংশ।
চলতি বছরের পাঁচ মাসে সারা বিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ।
এই সময়ে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি ভিয়েতনামের বেড়েছে ১৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ, ভারতের ১৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ ও পাকিস্তানের বেড়েছে ২১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। চীনের পোশাক রপ্তানি কমেছে ১০ শতাংশ।
অন্যদিকে ইউরোপের দেশগুলোতে ৫ মাসে সব দেশের পোশাক রপ্তানিতে গড় প্রবৃদ্ধি হয় ১১ দশমিক ৯ শতাংশ।
একক দেশ হিসেবে চীনের ২০ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ভারতের ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ, কম্বোডিয়ার ২৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ, ভিয়েতনামের ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ ও পাকিস্তানের ১৯ শতাংশ।
বিষয় : ওটেক্সা ইইইউ যুক্তরাষ্ট্র ইউরোস্ট্যাট বিএই পোশাক রপ্তানি
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh