× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা সন্তোষজনক পর্যায়ে: হোসেন জিল্লুর রহমান

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:৪৭ পিএম । আপডেটঃ ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:৪৭ পিএম

হোসেন জিল্লুর রহমান। ফাইল ছবি

অর্থনীতিতে পাঁচটি বড় চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেছেন, এর মধ্যে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরানোর কাজ চলছে এবং সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতাও সন্তোষজনক পর্যায়ে। যথাযথ পদক্ষেপ নিলে অন্য তিনটির ক্ষেত্রেও ২০২৫ সালের মধ্যে ইতিবাচক কিছু দেখা যাবে।

এই দুটির সঙ্গে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি ও বিশেষ সুবিধাভোগী ব্যবসায়িক শ্রেণির (অলিগার্ক) প্রভাব কমানো—এই পাঁচটিকে অর্থনীতির বড় চ্যালেঞ্জ বলে চিহ্নিত করেছেন হোসেন জিল্লুর রহমান।

আজ শনিবার সকালে ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ব্যাংকিং অ্যালমানাকের ষষ্ঠ সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে হোসেন জিল্লুর রহমান এসব চ্যালেঞ্জের কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ তথ্য রয়েছে ব্যাংকিং অ্যালমানাকে। এতে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্য রয়েছে। ব্যাংকের সহযোগিতায় শিক্ষাবিষয়ক সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘শিক্ষাবিচিত্রা’র উদ্যোগে ২০১৬ সাল থেকে এটি প্রকাশিত হচ্ছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জনবল, শাখা, পণ্যের তালিকাসহ সবই আছে এ বইয়ে।

এখন অর্থনীতির চাকা ঘোরানো বা বেগবান করা দরকার, এমন মন্তব্য করে হোসেন জিল্লুর বলেন, অবশ্য এ কাজ শুধু অর্থ মন্ত্রণালয়ের নয়, অন্যদেরও সমান দায়িত্ব আছে। বিনিয়োগ থমকে আছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নসহ অনেক কিছু করার আছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায় (এসএমই) থেকে তৃণমূল পর্যায়ে কীভাবে আস্থার জায়গা তৈরি করা যায় এবং মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে পরিবারগুলোকে কীভাবে রক্ষা করা যায়, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।

তবে অলিগার্কদের বাজার নিয়ন্ত্রণের শক্তি কমানোর ক্ষেত্রে দৃশ্যমান কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন হোসেন জিল্লুর।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এবারের ব্যাংকিং অ্যালমানাক শুধু ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নয়, বিনিয়োগকারীদেরও কাজে লাগবে। তবে প্রায়ই রপ্তানি, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) হিসাব ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তথ্য বিভ্রাটের পেছনে কিছু আছে ভুল হিসাবায়ন, কিছু আছে রাজনীতিবিদদের নেতিবাচক ভূমিকা।

অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ব্যাংকিং অ্যালমানাক তিনি আগে কখনো দেখেননি, গতকালই (শুক্রবার) প্রথম দেখেছেন। দেখে তাঁর মনে হয়েছে, এটি আমানতকারীদেরও কাজে লাগবে।

বইয়ের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, ঠিক হালনাগাদ তথ্য বইয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন ২০২৪ সালের ডিসেম্বর চললেও বইয়ের তথ্য ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। পদ্মা ব্যাংক থেকে তথ্য পাওয়া যায়নি। অন্যরা দিয়েছে।

ব্যাংকিং অ্যালমানাক ছাপা ও অনলাইন—উভয় রূপেই আজ প্রকাশিত হয়েছে। অ্যামাজন ডটকম, রকমারি ডটকম ও প্রকাশনা সংস্থা পাঠক সমাবেশের বিক্রয়কেন্দ্র থেকে এ বই কেনা যাবে। দাম ১ হাজার ২৫০ টাকা।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: nationaltribune24@gmail.com

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.