আলুর আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার পাশাপাশি ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক তুলে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এছাড়াও পেঁয়াজ আমদানিতে বিদ্যমান ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কীটনাশকের উপর প্রযোজ্য ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (রেগুলেটরি ডিউটি) ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আলু আমদানিতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক থেকে ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রযোজ্য ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কও সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আর পেঁয়াজের ওপর যে ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি প্রযোজ্য ছিল, তাও সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারির কথা জানিয়েছে এনবিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, "বিগত জুলাই ও আগস্ট, ২০২৪ মাসে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান এবং এর প্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে দেশে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে যা এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি।
"উপরন্তু দেশের পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে।"
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কীটনাশক, আলু ও পেঁয়াজের মত গুরুত্বপূর্ণ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য কমানোর ব্যবস্থা নিতে এনবিআরকে অনুরোধ জানায়।
এনবিআর বলছে, আলু এবং পেঁয়াজ অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদনের মাধ্যমে যেহেতু দেশের মোট চাহিদার সিংহভাগ মেটানো হয় এবং আমদানি শুল্ক কম থাকলে দেশীয় উৎপাদনের উপর প্রযোজ্য প্রতিরক্ষণ হ্রাস পায়, সেহেতু কৃষককে আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে উৎসাহিত করতে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই শুল্ক ছাড় দেওয়া হবে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে কৃষকদের আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে।
এর ফলে পণ্য দুটির বাজারমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকবে বলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশা করছে।